কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি,
পুলিশের হাতে একাধিকবার ধরা পড়ে জেল খেটেছে। মাদক কারবার সহ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে থানায় তার বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় অভিযোগপত্রে নামও এসেছে। তবুও মাদক ব্যবসা থেকে তাকে নিবৃত করা যায়নি। আইনের ফাঁক গলে বারবার জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বিক্রি করেন তিনি। বেপরোয়া এই মাদক ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের যতিনের হাট এলাকা থেকে আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম মফিজুল ইসলাম ওরফে মোখলেস। তব্ েমাদকের দুনিয়ায় সে চেয়ারম্যান নামে পরিচিত। কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সড়া ভোগরাম গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে সে।
মফিজুলের গ্রেফতারে সাময়িক স্বস্তি বোধ করলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না তার এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, পুলিশ বারবার গ্রেফতার করলেও মফিজুল বারবার জামিনে বেরিয়ে আবারও এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে। সে যে ক’দিন জেলে থাকে সেই ক’দিন তার পরিবারের সদস্যরা মাদক বিক্রি চলমান রাখে। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে নানা রকম হুমকি দেয় মফিজুল ও তার পরিবার। দুর্ধর্ষ এই মাদক ব্যবসায়ীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, মফিজুল দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পুলিশ বারবার তাকে গ্রেফতার করলেও সে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও একই কাজে জড়ায়। গত বছরের অক্টোবর মাসে জেলার মধ্যকুমরপুর এলাকায় ১০ কেজি গাঁজা নিয়ে জেলা শহরে আসার পথে পুলিশের ধাওয়ায় মফিজুল পালিয়ে যায়। তবে তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। ওই মামলায় আদালত মফিজুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সদর থানা পুলিশ মফিজুলকে গ্রেফতার করে।
সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, মফিজুলের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধষর্ণের পর হত্যা সহ মাদক ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।